ছেলেটা কি সবসময় সিগারেট'ই টানে?
"ছেলেটা কি সবসময় সিগারেট'ই টানে?"- বিস্মিত হয়ে ইশু তার বান্ধবীকে আস্ক করলো কথাটা।
"আমি কি করে বলবো;শুধু সিগারেট খেয়ে কেউ বাঁচে?"- তাচ্ছিল্যের স্বরে জবাব দিলো বান্ধবী।
আর কোনো কথা না বলে ইশু তার হলের দিকে হাঁটা ধরলো।
শুভ্র কে পড়াতে যেতে হবে,এ টিউশনটা তাকে ছেড়ে দিতে হবে,একটু বেশীই পরিশ্রম হয়ে যাচ্ছে।
জীবনে কিছুটা ফ্রি সময় দরকার,তা না হলে জীবন যান্ত্রিক মনে হয়।
.
"আমি কি করে বলবো;শুধু সিগারেট খেয়ে কেউ বাঁচে?"- তাচ্ছিল্যের স্বরে জবাব দিলো বান্ধবী।
আর কোনো কথা না বলে ইশু তার হলের দিকে হাঁটা ধরলো।
শুভ্র কে পড়াতে যেতে হবে,এ টিউশনটা তাকে ছেড়ে দিতে হবে,একটু বেশীই পরিশ্রম হয়ে যাচ্ছে।
জীবনে কিছুটা ফ্রি সময় দরকার,তা না হলে জীবন যান্ত্রিক মনে হয়।
.
ফ্রেশ হয়ে হলের বারান্দায় এসে দাড়ালো ইশু,হাতে একমগ কফি।
ইদানিং খুব কফি লাভার হয়ে উঠেছে সে।
কফির মগে চুমুক দিয়ে পাঁচ সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে রাখাটা ইদানিং তার অভ্যেস হয়ে দাড়িয়েছে।
পরপর কয়েকটা চুমুক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে অবাক হলো ইশু,
এই তো সেই ছেলেটা সিগারেট হাতে দাড়িয়ে আছে!
আনমনে সিগারেট টেনে যাচ্ছে আর ধোঁয়ার রিং ছুড়ছে বাতাসে।
চুলগুলো উসকো খুসকো, চোখে গোল ফ্রেমের চশমা আর সাদা শার্ট গায়ে সাথে একটা টু কোয়ার্টার পরা!
ইশু তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে,কি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে সিগারেট টেনে যাচ্ছে ছেলেটা।
যেনো জাগতিক কোনো কিছু তাকে স্পর্শ করছে না।
ইশু অপলক তাকিয়ে আছে,আসলে তাকাতে বাধ্য।
এ অগোছালো ছেলেটার ভেতর কিছু একটা আছে,অজানা এক আকর্ষন!
না তাকিয়ে থাকা যায় না আবার তাকিয়ে দেখার মতো কিছু পাওয়াও যায় না!
ইশুর মাথা ঝিম ঝিম করছে হঠাৎ করে,শুয়ে পড়া উচিত কিন্ত ব্যালকনি হতে সরতে মন চাচ্ছেনা!
আশ্চর্য!
.
বেশ কয়েকদিন ছেলেটাকে দেখা যাচ্ছে না,ইশু একরকম ভুলেই গিয়েছে বলতে গেলে।
কলেজ হতে আসার সময় বেশ কয়েকদিন খুঁজলো কিন্ত পেলো না, ইশু তার বান্ধবীকেও বলতে পারছেনা।
কি না কি ভেবে বসবে!
তবুও মন থেকে ছেলেটাকে মুছতেও পারছেনা,এ এক অসহ্য রকম অস্বস্তিকর জিনিস।
এরকম ছাইপাস ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করেই একটা বাইক তার সামনে এসে ব্রেক করলো।
ঘটনার আকস্মিকতায় ইশু ভড়কে গেলো,বাইকে দুটো অপরিচিত ছেলে হালকা শীস বাজিয়ে চলে গেলো আবার।
ইদানীং ইশু একটা অজানা আতংকে ভুগছে,বাইকের ছেলে দুটোকে সে কোথাও দেখেছে।
কিন্ত কোথায় দেখেছে তা মনে করতে পারছেনা একদম।
একটা চাপা আতঙ্ক নিয়ে ইশু হলে আসলো।
ফ্রেশ হতে ইচ্ছে করছে না,সারা শরীরে ক্লান্তি এসে ভর করলো মনে হচ্ছে।
পাখাটা ছেড়ে বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিলো ইশু।
.
শুভ্র কে পড়ানো যতটা না সহজ তারচে বেশী কঠিন তার দুষ্টমি সামাল দেয়া।
তার উপর নানারকম অদ্ভূত প্রশ্ন তো আছেই।
শুভ্র কে আর পড়ানো যাবেনা,সময় পাওয়া যাচ্ছেনা।
এতো চাপ নিলে শরীররটা একদম ভেঙ্গে যাবে হয়তো।
তাছাড়া আজ মনটাও বেশ খারাপ,এতোকিছুর মাঝেও শুভ্রকে ম্যাথ করতে দিয়ে চুপ মেরে বসে আছে ইশু।
"ইশু,তুমি কি কোনো কারনে ডিপ্রেস"- বলে নাস্তা নিয়ে রুমে ঢুকলো শুভ্রের আম্মু।
ট্রে হতে পানির গ্লাস তুলতে তুলতেই ইশু "আমি একদম ঠিক আছি আপু"- বলে একদমে পুরো গ্লাস পানি খেয়ে নিলো।
শুভ্রের আম্মু চুপ করে ইশুকে দেখে যাচ্ছে,ইশুকে আসলেই খুব মন মরা লাগছে।
একটু দম নিয়ে শুভ্রের আম্মু প্রশ্ন করলেন-
ট্রে হতে পানির গ্লাস তুলতে তুলতেই ইশু "আমি একদম ঠিক আছি আপু"- বলে একদমে পুরো গ্লাস পানি খেয়ে নিলো।
শুভ্রের আম্মু চুপ করে ইশুকে দেখে যাচ্ছে,ইশুকে আসলেই খুব মন মরা লাগছে।
একটু দম নিয়ে শুভ্রের আম্মু প্রশ্ন করলেন-
--- তুমি কি সিক ইশু?
--- ঠিক আছি আপু।
--- কেমন যেনো লাগছে তোমাকে,তাই বললাম।
যাই হোক,শুভ্রের কি অবস্থা পড়ালেখার?
--- ভালোই আপু,সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান।
--- একটু চা করে দেই তোমাকে?
--- না আপু,ধন্যবদ।
একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম আপু।
--- হ্যাঁ বলো।
--- আমি এ মাসের পর আর পড়াতে আসবো না।
--- কেনো কেনো?
--- একটু বিশ্রাম দিতে চাই নিজেকে।
--- কিন্ত সামনে যে শুভ্রের এক্সাম?
--- আমি ভালো একজন টিউটর খুঁজে দেবো এর ভেতর,টেনশন নিয়েন না আপনি একদম।
--- কিন্ত......
--- সরি আপু,আজ আসি।
--- ঠিক আছি আপু।
--- কেমন যেনো লাগছে তোমাকে,তাই বললাম।
যাই হোক,শুভ্রের কি অবস্থা পড়ালেখার?
--- ভালোই আপু,সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান।
--- একটু চা করে দেই তোমাকে?
--- না আপু,ধন্যবদ।
একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম আপু।
--- হ্যাঁ বলো।
--- আমি এ মাসের পর আর পড়াতে আসবো না।
--- কেনো কেনো?
--- একটু বিশ্রাম দিতে চাই নিজেকে।
--- কিন্ত সামনে যে শুভ্রের এক্সাম?
--- আমি ভালো একজন টিউটর খুঁজে দেবো এর ভেতর,টেনশন নিয়েন না আপনি একদম।
--- কিন্ত......
--- সরি আপু,আজ আসি।
ইশু উঠে চলে এলো, রাস্তায় হাঁটছে আর অজান্তেই চোখ দুটো খুঁজে বেড়াচ্ছে সেই উসকো খুসকো চুল,মোটা ফ্রেমের চশমা,হাতে সিগারেট,সাদা শার্ট আর টু কোয়ার্টার পরা ছেলেটাকে।
ইশু চাইলেও কেনো যেনো মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছেনা ছেলেটাকে।
দুএক পা করে এগুতে এগুতে কলেজ গেট ক্রস করার সময় ঠিক সামনে দিয়েই ছেলেটা সিগারেট টানতে টানতে চলে গেলো রিক্সায় চড়ে।
ইশুর হঠাৎ করেই মনে হলো হার্টবিট থমকে গিয়েছে একদম।
পুরো অসাড় হয়ে গেছে ইশু,অটো রিক্সার হর্ণে চমক ভাঙ্গলো ইশুর কিন্ত ছেলেটা রাস্তার অগুনতি রিক্সার ভিড়ে হারিয়ে গেলো।
কেনো যেনো ইশুর খুব খারাপ লাগলো,চোখের কোনায় ঝাপসা জলের ফোঁটা নিয়ে হলে ঢুকলো ইশু।
ইশু চাইলেও কেনো যেনো মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছেনা ছেলেটাকে।
দুএক পা করে এগুতে এগুতে কলেজ গেট ক্রস করার সময় ঠিক সামনে দিয়েই ছেলেটা সিগারেট টানতে টানতে চলে গেলো রিক্সায় চড়ে।
ইশুর হঠাৎ করেই মনে হলো হার্টবিট থমকে গিয়েছে একদম।
পুরো অসাড় হয়ে গেছে ইশু,অটো রিক্সার হর্ণে চমক ভাঙ্গলো ইশুর কিন্ত ছেলেটা রাস্তার অগুনতি রিক্সার ভিড়ে হারিয়ে গেলো।
কেনো যেনো ইশুর খুব খারাপ লাগলো,চোখের কোনায় ঝাপসা জলের ফোঁটা নিয়ে হলে ঢুকলো ইশু।
ভর সন্ধ্যায় খুব করে কাঁদলো ইশু,বিছানায় উপুড় হয়ে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে খুব খুব কাঁদলো ইশু।
সন্ধ্যাতারাকে সাক্ষী করে,কফির মগে নোনতা জল ফেলে আরেকটু কাঁদলো ইশু।
বিষন্ন বিকেল থেকে গুমোট সন্ধ্যা পুরোটা সময় মন খারাপের রিহার্সাল চলে ইশুর মনে।
অজান্তেই ব্যালকনিতে এলে দুটো চোখ খুঁজে ফেরে সেই উসকো খুসকো চুল,মোটা ফ্রেমের চশমা,হাতে সিগারেট, সাদা শার্ট আর টু কোয়ার্টার পরা ছেলেটাকে।
কিন্ত চাইলেই তো সব পাওয়া যায় না,তবু খুঁজে ফেরে।
খুঁজুক না,খুঁজতে দোষ কি?
ক্লান্তি না আশা অবধি রোজ সন্ধ্যায় মনের বিলবোর্ডে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হোক অগোছালো মানুষটার জন্য,একদিন পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে।
.
আজকের অর্গানিক কেমেস্ট্রি ক্লাসটা এতো বোরিং ছিলো যে বলার মতো না,ইশুর ইচ্ছে করছিলো চলে যেতে।
বাট এই টিচারটা খুব বদ,চাইলেও ক্লাস থেকে বের হওয়া যাবে না।
ইশু অপেক্ষা করছে ক্লাসটা শেষ হবার,পৃথিবীর সব বোরিং জিনিস মনে হয় দীর্ঘস্থায়ী।
চাইলেই সব বিরক্তির শেষ করা যায় নাহ্।
.
ক্লাস শেষে সবাই আড্ডা দিচ্ছে গেটের বাম পাশে,ইশু তাদের কথায় কোনো মনযোগ দিতে পারছেনা।
ঝালমুড়ি খেতে মন চাচ্ছে হুট করেই,ইশু ঝালমুড়িওয়ালাকে ডাকতে গিয়েই থমকে গেলো।
ঐ তো ছেলেটা!
সাদা শার্ট,টু কোয়ার্টার,হাতে সিগারেট আর উসকো খুসকো চুল,মোটা ফ্রেমের চশমা।
ইশু এগিয়ে যেতে থাকলো ছেলেটার দিকে.......
.
"আচ্ছা,আপনার কি আর কোনো শার্ট নেই?"- বলে ইশু ছেলেটার চোখে চোখ রাখলো।
ঘটনার আকস্মিকতায় ছেলেটি হতচকিত হয়ে গেলো!
হাতের সিগারেট ফেলে দিয়ে বাইক স্টার্ট করতে গেলো এমন সময় আবার ইশু জিজ্ঞেস করলো- "কি হলো? আপনার কি আর কোনো শার্ট নেই?"
ছেলেটা ইশুর দিকে একবার তাকিয়ে পকেট হতে আরেকটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে রাখতেই ইশুর রাগ সপ্তমে উঠতে লাগলো।
কেউ ইশুকে ইগনোর করলে তার মিজাজ চড়ে যায় একদম।
ছেলেটির ঠোঁট হতে সিগারেটটা টান দিয়ে ফেলে ইশু আগুন চোখে তাকিয়ে রইলো ছেলেটার দিকে।
ছেলেটা বাইক স্টার্ট করে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে চলে গেলো।
ইশু বজ্রাহতের ন্যায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো সেখানটাতেই!
.
নীলা আপু এসে দুবার ঘুরঘুর করে গেলো ইশুর সামনে দিয়ে,ইশু কফির মগ হাতে ব্যালকনিতে দাঁড়ানো।
নীলা আপু আবার এসে দাঁড়ালো ইশুর সামনে।
ইশু একবার চোখ তুলে তাকালো নীলা আপুর দিকে।
সন্ধ্যাতারাকে সাক্ষী করে,কফির মগে নোনতা জল ফেলে আরেকটু কাঁদলো ইশু।
বিষন্ন বিকেল থেকে গুমোট সন্ধ্যা পুরোটা সময় মন খারাপের রিহার্সাল চলে ইশুর মনে।
অজান্তেই ব্যালকনিতে এলে দুটো চোখ খুঁজে ফেরে সেই উসকো খুসকো চুল,মোটা ফ্রেমের চশমা,হাতে সিগারেট, সাদা শার্ট আর টু কোয়ার্টার পরা ছেলেটাকে।
কিন্ত চাইলেই তো সব পাওয়া যায় না,তবু খুঁজে ফেরে।
খুঁজুক না,খুঁজতে দোষ কি?
ক্লান্তি না আশা অবধি রোজ সন্ধ্যায় মনের বিলবোর্ডে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হোক অগোছালো মানুষটার জন্য,একদিন পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে।
.
আজকের অর্গানিক কেমেস্ট্রি ক্লাসটা এতো বোরিং ছিলো যে বলার মতো না,ইশুর ইচ্ছে করছিলো চলে যেতে।
বাট এই টিচারটা খুব বদ,চাইলেও ক্লাস থেকে বের হওয়া যাবে না।
ইশু অপেক্ষা করছে ক্লাসটা শেষ হবার,পৃথিবীর সব বোরিং জিনিস মনে হয় দীর্ঘস্থায়ী।
চাইলেই সব বিরক্তির শেষ করা যায় নাহ্।
.
ক্লাস শেষে সবাই আড্ডা দিচ্ছে গেটের বাম পাশে,ইশু তাদের কথায় কোনো মনযোগ দিতে পারছেনা।
ঝালমুড়ি খেতে মন চাচ্ছে হুট করেই,ইশু ঝালমুড়িওয়ালাকে ডাকতে গিয়েই থমকে গেলো।
ঐ তো ছেলেটা!
সাদা শার্ট,টু কোয়ার্টার,হাতে সিগারেট আর উসকো খুসকো চুল,মোটা ফ্রেমের চশমা।
ইশু এগিয়ে যেতে থাকলো ছেলেটার দিকে.......
.
"আচ্ছা,আপনার কি আর কোনো শার্ট নেই?"- বলে ইশু ছেলেটার চোখে চোখ রাখলো।
ঘটনার আকস্মিকতায় ছেলেটি হতচকিত হয়ে গেলো!
হাতের সিগারেট ফেলে দিয়ে বাইক স্টার্ট করতে গেলো এমন সময় আবার ইশু জিজ্ঞেস করলো- "কি হলো? আপনার কি আর কোনো শার্ট নেই?"
ছেলেটা ইশুর দিকে একবার তাকিয়ে পকেট হতে আরেকটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে রাখতেই ইশুর রাগ সপ্তমে উঠতে লাগলো।
কেউ ইশুকে ইগনোর করলে তার মিজাজ চড়ে যায় একদম।
ছেলেটির ঠোঁট হতে সিগারেটটা টান দিয়ে ফেলে ইশু আগুন চোখে তাকিয়ে রইলো ছেলেটার দিকে।
ছেলেটা বাইক স্টার্ট করে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে চলে গেলো।
ইশু বজ্রাহতের ন্যায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো সেখানটাতেই!
.
নীলা আপু এসে দুবার ঘুরঘুর করে গেলো ইশুর সামনে দিয়ে,ইশু কফির মগ হাতে ব্যালকনিতে দাঁড়ানো।
নীলা আপু আবার এসে দাঁড়ালো ইশুর সামনে।
ইশু একবার চোখ তুলে তাকালো নীলা আপুর দিকে।
--- কিছু বলবে আপু? (ইশু)
--- না মানে তুমি কি ছেলেটিকে চেনো? (নীলা আপু)
--- কোন ছেলে?
--- আজ কলেজ গেটে যাকে থাপ্পড় দিয়েছো?
--- আমি কখন কাকে থাপ্পড় দিলাম?
--- তুমি শতাব্দী কে থাপ্পড় দাও নি?
--- কি বলো আপু? শতাব্দী কে আর কেনোই বা আমি তাকে থাপ্পড় দিতে যাবো?
--- সবাই যে বলছে শতাব্দীর মুখ থেকে সিগারেট টান দিয়ে ফেলে তুমি তাকে থাপ্পড় দিয়েছো!
--- আচ্ছা,তবে ওর নাম শতাব্দী?
আমি তাকে থাপ্পড় দেইনি তবে সিগারেট ঠোঁট হতে ফেলে দিয়েছি।
আরেকটু সময় সামনে থাকলে দিতাম থাপ্পড় ব্যাটাকে।
--- চুপ,তুমি চেনো তাকে?
সবাই ভয় করে তাকে,পলিটিক্স করে।
সাবধানে থাকবে,কখন কি করে বসে।
--- আচ্ছা ঠিক আছে।
কফি খাবে আপু?
--- না,তুমি খাও।
আমি গেলাম।
--- ওকে আপু।
--- না মানে তুমি কি ছেলেটিকে চেনো? (নীলা আপু)
--- কোন ছেলে?
--- আজ কলেজ গেটে যাকে থাপ্পড় দিয়েছো?
--- আমি কখন কাকে থাপ্পড় দিলাম?
--- তুমি শতাব্দী কে থাপ্পড় দাও নি?
--- কি বলো আপু? শতাব্দী কে আর কেনোই বা আমি তাকে থাপ্পড় দিতে যাবো?
--- সবাই যে বলছে শতাব্দীর মুখ থেকে সিগারেট টান দিয়ে ফেলে তুমি তাকে থাপ্পড় দিয়েছো!
--- আচ্ছা,তবে ওর নাম শতাব্দী?
আমি তাকে থাপ্পড় দেইনি তবে সিগারেট ঠোঁট হতে ফেলে দিয়েছি।
আরেকটু সময় সামনে থাকলে দিতাম থাপ্পড় ব্যাটাকে।
--- চুপ,তুমি চেনো তাকে?
সবাই ভয় করে তাকে,পলিটিক্স করে।
সাবধানে থাকবে,কখন কি করে বসে।
--- আচ্ছা ঠিক আছে।
কফি খাবে আপু?
--- না,তুমি খাও।
আমি গেলাম।
--- ওকে আপু।
ইশু বাইরে তাকালো,রাস্তাটা বেশ কোলাহোলপূর্ন।
রাতের নিয়ন আলো বেশ মায়ায় জড়িয়ে ধরে আছে রাস্তাটাকে,গাড়ির শব্দে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকটা বোঝা যাচ্ছেনা।
আচ্ছা,এখন কি ঝিঁ ঝিঁ পোঁকা ডাকে?
গ্রামে তো ডাকে মনে হয়,শহরেও ডাকতে পারে।
পোঁকাদের তো শহর গ্রাম নেই,হয়তো আছে তাকে কি?
ইশু আরেক মগ কঠি বানানোর জন্য কিচেনে পা বাড়ালো।
.(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব নয়, তাই গল্পের বাকী অংশ পেতে Add দিয়ে পাশে থাকুন)
কিছু কেনাকাটা করা দরকার,বান্ধবী ছুটিতে বাড়ি গেলো।
একা একা মার্কেটে যেতেও বোরিং লাগে খুব।
যাবে কি যাবেনা ভাবতে ভাবতে একসময় ইশু বের হলো মার্কেটের উদ্দেশ্যে।
হলের গেট ফেরিয়ে রিক্সায় উঠতে যাবে এসময় আবার বাইক এসে তার সামনে থামলো।
সেই ছেলে দুটো আজকেও!
আতঙ্কে ইশু জমে গেলো।
কিছু বুঝে উঠার আগেই হ্যাংলা কালো ছেলেটা ইশুর মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়লো,ইশু দুপা পিছিয়ে গেলো।
ছেলে দুটো খিক খিক করে হাসলো,ইশুর মনে হলো হায়েনা হাসছে।
ছেলে দুটো এবার নানারকম বাজে মন্তব্য ছুঁড়তে লাগলো ইশুকে নিয়ে।
ইশুর রাগ ক্ষোভ সব চাপিয়ে খুব কান্না পেতে লাগলো এবার।
দুহাতে মুখ ঢেকে দাড়িয়ে রইলো সে।
কিছু সময় এভাবে থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে ইশু ভয়ে ভয়ে চোখ মেললো আর যা দেখলো,তাতে সে স্তম্ভিত হয়ে গেলো।
ছেলে দুটো নেই কিন্ত শতাব্দী রিক্সায় উঠতে উঠতে সিগারেট ধরালো।
আজকেও সাদা শার্ট, টু কোয়ার্টার, উসকো খুসকো চুল,সেই চশমা, ঠোঁটে সিগারেট!
ইশু সাহস করে শতাব্দীর দিকে এগিয়ে গেলো।
শতাব্দী রিক্সায় বসলো ইশু রিক্সার সামনে দাড়ানো।
শতাব্দী আড় চোখে ইশুর দিকে তাকাচ্ছে আর ধোঁয়া ছাড়ছে সিগারেটের,ইশু নাক মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে শতাব্দীর দিকে।
"তাহলে কি এরা আপনার ছেলেপেলে?"- বলে শতাব্দীর দিকে তাকালো ইশু।
"মামা চলো"- শতাব্দী রিক্সাওয়ালাকে বলতেই ইশু রিক্সায় উঠে বসলো।
শতাব্দীর ঠোঁট হতে সিগারেট ছুঁড়ে ফেলে ইশু বলে উঠলো,"মামা,বড় মার্কেটে চলেন"
রাতের নিয়ন আলো বেশ মায়ায় জড়িয়ে ধরে আছে রাস্তাটাকে,গাড়ির শব্দে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকটা বোঝা যাচ্ছেনা।
আচ্ছা,এখন কি ঝিঁ ঝিঁ পোঁকা ডাকে?
গ্রামে তো ডাকে মনে হয়,শহরেও ডাকতে পারে।
পোঁকাদের তো শহর গ্রাম নেই,হয়তো আছে তাকে কি?
ইশু আরেক মগ কঠি বানানোর জন্য কিচেনে পা বাড়ালো।
.(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব নয়, তাই গল্পের বাকী অংশ পেতে Add দিয়ে পাশে থাকুন)
কিছু কেনাকাটা করা দরকার,বান্ধবী ছুটিতে বাড়ি গেলো।
একা একা মার্কেটে যেতেও বোরিং লাগে খুব।
যাবে কি যাবেনা ভাবতে ভাবতে একসময় ইশু বের হলো মার্কেটের উদ্দেশ্যে।
হলের গেট ফেরিয়ে রিক্সায় উঠতে যাবে এসময় আবার বাইক এসে তার সামনে থামলো।
সেই ছেলে দুটো আজকেও!
আতঙ্কে ইশু জমে গেলো।
কিছু বুঝে উঠার আগেই হ্যাংলা কালো ছেলেটা ইশুর মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়লো,ইশু দুপা পিছিয়ে গেলো।
ছেলে দুটো খিক খিক করে হাসলো,ইশুর মনে হলো হায়েনা হাসছে।
ছেলে দুটো এবার নানারকম বাজে মন্তব্য ছুঁড়তে লাগলো ইশুকে নিয়ে।
ইশুর রাগ ক্ষোভ সব চাপিয়ে খুব কান্না পেতে লাগলো এবার।
দুহাতে মুখ ঢেকে দাড়িয়ে রইলো সে।
কিছু সময় এভাবে থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে ইশু ভয়ে ভয়ে চোখ মেললো আর যা দেখলো,তাতে সে স্তম্ভিত হয়ে গেলো।
ছেলে দুটো নেই কিন্ত শতাব্দী রিক্সায় উঠতে উঠতে সিগারেট ধরালো।
আজকেও সাদা শার্ট, টু কোয়ার্টার, উসকো খুসকো চুল,সেই চশমা, ঠোঁটে সিগারেট!
ইশু সাহস করে শতাব্দীর দিকে এগিয়ে গেলো।
শতাব্দী রিক্সায় বসলো ইশু রিক্সার সামনে দাড়ানো।
শতাব্দী আড় চোখে ইশুর দিকে তাকাচ্ছে আর ধোঁয়া ছাড়ছে সিগারেটের,ইশু নাক মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে শতাব্দীর দিকে।
"তাহলে কি এরা আপনার ছেলেপেলে?"- বলে শতাব্দীর দিকে তাকালো ইশু।
"মামা চলো"- শতাব্দী রিক্সাওয়ালাকে বলতেই ইশু রিক্সায় উঠে বসলো।
শতাব্দীর ঠোঁট হতে সিগারেট ছুঁড়ে ফেলে ইশু বলে উঠলো,"মামা,বড় মার্কেটে চলেন"
রিক্সা এগিয়ে চলছে জনবহুল রাস্তা ধরে,শতাব্দী বা ইশু কারো মুখে কোনো কথা নেই।
ইশুর কেমন যেনো লাগছে,হুট করে রিক্সায় উঠে পড়াটা মনে হয় ভালো হয়নি একদম।
ধ্যাঁত,এতো কিছু ভেবে কি হবে?
উঠে যেহেতু পড়েছি একবার কিছু জিজ্ঞেস করা যাক।
ইশুর কেমন যেনো লাগছে,হুট করে রিক্সায় উঠে পড়াটা মনে হয় ভালো হয়নি একদম।
ধ্যাঁত,এতো কিছু ভেবে কি হবে?
উঠে যেহেতু পড়েছি একবার কিছু জিজ্ঞেস করা যাক।
--- আপনি কি বোবা? (ইশু)
--- (শতাব্দী চুপ)
--- কি হলো? কথা বলুন!
--- মামা,ডান পাশের রাস্তা দিয়ে যাও।
--- আপনি আমার সাথে কথা বলছেন না কেনো?
--- বলুন।
--- আপনি আজও সেইম ড্রেস কেনো পরে আছেন?
আর পোষাক নেই আপনার?
--- আছে।
--- তো সবসময় এসব কেনো পরেন?
পাঞ্জাবী পরবেন।
--- আমি নামবো সামনে।
--- না,নামবেন না।
আপনাকে একটা শার্ট কিনে দিবো আজ।
--- ধন্যবাদ, তবে শার্ট লাগবেনা।
---- কেনো?
--- এখানে রাখো মামা?
--- সমস্যা কি?
আমার সাথে কথা বলুন।
এ পোষাকের বিশেষত্ব কি?
--- সাবধানে যাবেন।
--- শুনুন....
--- (শতাব্দী চুপ)
--- কি হলো? কথা বলুন!
--- মামা,ডান পাশের রাস্তা দিয়ে যাও।
--- আপনি আমার সাথে কথা বলছেন না কেনো?
--- বলুন।
--- আপনি আজও সেইম ড্রেস কেনো পরে আছেন?
আর পোষাক নেই আপনার?
--- আছে।
--- তো সবসময় এসব কেনো পরেন?
পাঞ্জাবী পরবেন।
--- আমি নামবো সামনে।
--- না,নামবেন না।
আপনাকে একটা শার্ট কিনে দিবো আজ।
--- ধন্যবাদ, তবে শার্ট লাগবেনা।
---- কেনো?
--- এখানে রাখো মামা?
--- সমস্যা কি?
আমার সাথে কথা বলুন।
এ পোষাকের বিশেষত্ব কি?
--- সাবধানে যাবেন।
--- শুনুন....
শতাব্দী রিক্সা হতে নেমে হেঁটে চলে গেলো ভীড়ের ভেতর।
ইশু ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো সে দিকে,রিক্সা আবার হলের দিকে ঘুরাতে বললো ইশু।
কেনো যেনো আবারো খুব কান্না পাচ্ছে ইশুর।
এ লোকটা এমন কেনো?
কি সমস্যা?
পাগল নয়তো?
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে হলের সামনে এসে থামলো রিক্সা।
"কত মামা?"- বলে একটা একশো টাকার নোট ইশু দিতে গেলো কিন্ত রিক্সাওয়ালা ভাড়া নিলো না।
"এটা শতাব্দী মামার রিজার্ভ করা,ভাড়া নেওন যাইবো না"- বলে রিক্সাওয়ালা রিক্সাটা ঘুরিয়ে মাছ বাজারের মোড়ের দিকে চলে গেলো।
ইশুর কাছে সব অবাস্তব মনে হচ্ছে,মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে কে এই শতাব্দী? কেনো সে এমন? কি তার অতীত বা কি তার পরিচয়?
জানতে হবে, সব জানতে হবে তার।
মাথাটা ঝিম ঝিম করছে আবার, কফি খেতে হবে।
ইশু সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছে,মাথাটা ভন ভন করছে।
সেন্স হারানোর আগ অবধি তার মাথায় প্রশ্নগুলো একটার পর একটা গিঁট্টু লাগাতেই থাকলো।
.
#গল্পঃ অপ্রকাশিত অতিথি
(collection facebook)
প্রথম পর্ব।
ইশু ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো সে দিকে,রিক্সা আবার হলের দিকে ঘুরাতে বললো ইশু।
কেনো যেনো আবারো খুব কান্না পাচ্ছে ইশুর।
এ লোকটা এমন কেনো?
কি সমস্যা?
পাগল নয়তো?
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে হলের সামনে এসে থামলো রিক্সা।
"কত মামা?"- বলে একটা একশো টাকার নোট ইশু দিতে গেলো কিন্ত রিক্সাওয়ালা ভাড়া নিলো না।
"এটা শতাব্দী মামার রিজার্ভ করা,ভাড়া নেওন যাইবো না"- বলে রিক্সাওয়ালা রিক্সাটা ঘুরিয়ে মাছ বাজারের মোড়ের দিকে চলে গেলো।
ইশুর কাছে সব অবাস্তব মনে হচ্ছে,মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে কে এই শতাব্দী? কেনো সে এমন? কি তার অতীত বা কি তার পরিচয়?
জানতে হবে, সব জানতে হবে তার।
মাথাটা ঝিম ঝিম করছে আবার, কফি খেতে হবে।
ইশু সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছে,মাথাটা ভন ভন করছে।
সেন্স হারানোর আগ অবধি তার মাথায় প্রশ্নগুলো একটার পর একটা গিঁট্টু লাগাতেই থাকলো।
.
#গল্পঃ অপ্রকাশিত অতিথি
(collection facebook)
প্রথম পর্ব।
No comments