Header Ads

ঢাবি: একদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে দলে দলে ঢুকেছে বহিরাগতরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): একদিকে প্রশাসন বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, অন্যদিকে রাজধানী ও ইতিহাস পরিবহন নামে দুটি বাসে অন্তত ১০০ জন বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেছে। এসব বহিরাগতদের হাতে হেলমেট, স্ট্যাম্প, পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল।



মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে দুই বাসে চড়ে এসব বহিরাগতরা ঢাবিতে ঢোকে। এ ছাড়া, দুটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে প্রায় ৩০ জনকে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশের রাস্তা দিয়ে মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে যেতে দেখা যায়।


দুপুর ২টা থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে রড, লাঠি, বাঁশসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল, এবং মাথায় ছিল হেলমেট। এ অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও তেজগাঁও কলেজ শাখার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।


ছাত্রলীগের অবস্থানের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমান প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়া অন্যদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন। বিকেল ৩:৪৫ থেকে ৪:১০ পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল টিম এই কর্মসূচি পালন করে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বাঁশ, লাঠি, জিআই পাইপসহ নানা দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।


তবে, প্রচুর বহিরাগত অবস্থান নেওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। অভিযানের পরও অনেক নেতাকর্মীর হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।


এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি। যতক্ষণ কর্মসূচি চলবে, ততক্ষণ আমাদের অভিযানও চলবে।"


উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রক্টরিয়াল কমিটির জরুরি সভায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ ৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো:

1. আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

2. শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ।

3. ক্যাম্পাসে সন্দেহজনক কাউকে চিহ্নিত করা হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার পরামর্শ।

4. শিক্ষার্থীদের সমাবেশে কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, যেমন- লাঠিসোটা, ইট, আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি বহন নিষিদ্ধ।

5. নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা এবং কেউ জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.